Tuesday, 9 June 2015

মেয়েদের পোষাক

মুসলমান মেয়েরা ফতুয়া জিন্স পড়তে পারে? মেয়েদের মধ্যে বিশেষ করে ভার্সিটি পড়ুয়া ও তরুণীরা নিজেকে স্মার্ট ও আধুনিকা প্রমান করার জন্য ফতুয়া-জিন্স পড়ে থাকে। ভিডিওটি দেখতে প্যান্টের উপর ক্লিক করুন।
https://www.youtube.com/watch?v=2HdziPDE18c

এর পরও যদি তার কথা বলার প্রয়োজন হয়
অন্য পুরুষের সাথে, রিকশাওয়ালার সাথে, ডাক্তারের সাথে
অফিস আদালতে.. তাহলে….. তখন আল্লাহ তাআলা বলেন “পৃথিবীর মানুষ, তোমরা যদি নারীদের কিছু বলতে চাও,তারা যদি তোমাদের সাথে প্রয়োজনীয় কোন কথা বলতে চায়, তাহলে অন্তরাল থেকে বল”
হয় দেওয়ালের অন্তরাল, নাহয় পোশাকের অন্তরাল । ও পুরোপুরি নগ্ন হয়ে আছে, পরনে কাপড়ই নেই , আর ও বলছে যে, “আমার মন ভালো আছে” ।
কত্ত বড় শয়তানি কথা তার । বিষ খাচ্ছে আর বলছে “আমি নিয়ত করেছি শরবত খাচ্ছি, আমার অন্তর ভালো আছে” বলছে, “ও বোরখা পরে আর অন্যায় করে, ও কি ভালো ? আমি ভালো
আরে বেহায়া তুমি কি করে ভালো? আশ্চর্য , তোমার চোখ দেথলে পাপ হয়, তোমার চুল দেথলে পাপ হয়, তোমার পা দেখলে পাপ হয়, তোমার শরীর দেখলে পাপ হয়, তোমার লজ্জা হয়না? অশিক্ষিতা মেয়ে, তুমি নিজেকে কি করে ভালো বল যে আমি তার চেয়ে ভালো ?তোমার বিদ্যা নেই?তোমার বুদ্ধি নেই? তোমার বোধগম্য নেই? তোমার হিতাহিত জ্ঞান নেই? তুমি মানুষ নও? তুমি নিজেকে বুঝোনা? নিজেকে নগ্ন করে অপরের চেয়ে ভালো বল কি করে? তোমাকে ভালো হতে হবে পোশাকের মাধ্যমেই , এটা আল্লাহর বিধান, এটা আল্লাহর রাসূলের বিধান । তুমি আল্লাহর বিধানকে উপেক্ষা করে, তুমি নিজেকে বল আমি ভালো , এটা অসম্ভব, এটা হতে পারেনা, তুমি এই একটা ড্রেনে পরে আছ, যেনার জগতে, আর তুমি নিজেকে ভালো বল, এটা তুমি কোথায় পেয়েছ? তুমি ধর্মকে মজাক কর, তুমি বলতে পারোনা? “আমি অমুসলিম মেয়ে” তুমি বলবে আমার নাম ”অলকা”, তুমি বলবে আমার বাপের নাম “গৌতম গুপ্ত”, তোমার যা ইচ্ছা তুমি করে বেড়াও, তুমি তুমি নিজেকে বল মুসলিম মেয়ে, আবার তুমি একথা বল যে , “সে বোরখা পরে অন্যায় করে, আমি ভালো আছি””হিসাব পেয়েছ কি তুমি?” ইসলামি পোশাক পরেই তুমাকে ভালো হতে হবে, পৃথিবীতে এর বিকল্প পথ নেই, এটা আল্লাহ বলে দিয়েছেন । এই পোশাকেই তাকে ভালো হতে হবে, এই পোশাক থাকলেই তার উপর কটু মন্তব্য হবেনা ।তুমি আল্লাহর বিধানকে উপেক্ষা করে নিজেকে মাতাব্বরি দেখাচ্ছ? তোমার কথার উপর ইসলাম চলেনা ,তোমার কথার উপরে জাহান্নাম জান্নাত হবে না, তুমি ভাবিও…………………
ক্ষমতা দেখিয়ে হারিয়ে গেছে ফেরাউন, হারাতে হবে একদিন তোমাকেও, পৃথিবী কারও স্থায়ী বসবাসের জায়গা নয়, অতএব বিবেচনা করে চল ।এটাই তোমার জন্য ভালো হবে । নিজের বিবেচনা অন্যের কাধের উপর চাপিয়ে দিওনা, পরকাল হারাবে নিশ্চিত ।

এই পোশাকের পাপ তিন প্রকারঃ ১. পুরুষদের পোষাক পড়া - রাসুলুল্লাহ (সাঃ) অভিশাপ দিয়েছেন ঐ সমস্ত নারীদের প্রতি যারা পুরুষদের পোশাক পড়ে আর যে সমস্ত পুরুষেরা নারীদের পোশাক পড়ে। (আবু দাউদ)
২. ফাহেশা বা অশ্লীলতা - এই পোশাকে নারীদের শরীরের অবয়ব প্রকাশ পায় যা ফাহেশা কাজের অন্তর্ভুক্ত।
৩. ওড়না না পড়া - বাইরে বের হলে নারীদের হিজাবের (মাথারছোট্ট একটা রুমাল না, রেগুলার কাপড়ের উপরে অন্য একটা লম্বা ও ঢোলা কাপড় দিয়ে সারা শরীর ঢাকা কমপ্লিট পর্দা) উপরে এক্সট্রা বুকের উপরে কাপড় দিয়ে বের হওয়ার আদেশ আল্লাহ কুরানেই উল্লেখ করেছেন। এই মেয়েগুলা প্রাপ্তবয়ষ্কা বলে তারা নিজেরাই আগুনে যাওয়ার পথের দিকে হাটছে সাথে আরো অনেক যুবকদেরকেও ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।একটা মেয়েকে ছোটবেলা থেকে হিজাব পর্দা শেখানো তার পরিবারের জন্য ফরয।তার যদি এই কাজ না করে, উলটো নিজের মেয়েকে কাফের নারীদের মতো অশ্লীল কাপড় চোপড় কিনে দেয় বা টাকা দিয়ে সাপোর্ট করে, তার মেয়ে তারই সামনেই লম্পট পুরুষদের কামনার বস্তু হয়ে ঘুরে বেড়াবে আর সে চুপ করে বসে থাকবে, ইসলামে এই ধরণের পুরুষকেই দাইয়ুছ বলে। আর দাইয়ুছের জন্য জান্নাত হারাম।
https://www.youtube.com/watch?v=2HdziPDE18c

No comments:

Post a Comment